বিএনপির খুশি বেশি দিন থাকবে না : কাদের
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপের পর বিএনপি নেতাদের মধ্যে ‘খুশির ¯্রােত’ বইছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই খুশি বেশি দিন থাকবে না, অচিরেই ভাঁটা পড়বে। বিএনপি এখনও ‘কোমর সোজা’ করে দাঁড়াতে পারেনি মন্তব্য করে তাদের নিয়ে বিচলিত না হতে নেতাকর্মীদের বলেছেন তিনি। একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলগুলোর ভাবনা জানতে নির্বাচন কমিশনের চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে রোববার বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বসেন নির্বাচন কমিশনাররা। সেখানে বিএনপি ও দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রশংসা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির জন্য কোনো সুখবর ওই সংলাপে না এলেও সরকারের ‘দমন–পীড়নের’ মধ্যে এই বসাকে ‘আশার যাত্রা’ বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সভায় বক্তব্যে ওই প্রসঙ্গ টানেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সংলাপের পর বিএনপি নেতাদের মধ্যে খুশি খুশি ভাব, এই খুশি খুশি ভাব কয় দিন থাকবে? শেষ পর্যন্ত থাকবে তো? এই খুশির ¯্রােত বারে বারে আসে, বারে বারে ভাঁটা পড়ে। এই খুশির ¯্রােত, অচিরেই ভাঁটা পড়ে যাবে। বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপি এখন একটা এলোমেলো পার্টি। এখনো কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠেয় ছয় সিটি করপোরেশন–রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও গাজীপুরে নির্বাচনকে জনমত যাচাইয়ের সুযোগ হিসেবে দেখে সেখানে নিজেদের প্রমাণে নেতাকর্মীদের তাগাদা দেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনাদের মেসেজ দিয়ে দিচ্ছি, সামনের সিটি নির্বাচনে আমরা সেমিফাইনাল খেলব, আর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা খেলে আবার বিএনপিকে পরাজিত করব। এই সব নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো বিভেদ না রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের জন্য কাজ করে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। কাদের বলেন, গত সিটি নির্বাচনে একমাত্র কুমিল্লা ছাড়া বাকি সবকটিতে আমরা জয়ী হয়েছি। এর মানে গ্রামের মানুষ আরেকবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আর এর জন্য আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ থাকতে পারবে না। আপনাদের কাছে আর কিছু চাই না, আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের জোয়ার উঠেছে। এই জোয়ারে সকল ষড়যন্ত্র ভেসে যাবে। মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য হালনাগাদ অনুষ্ঠানে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের এইবারের নতুন সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রথম প্রায়োরিটি পাবে মহিলা ভোটাররা, তারপর অগ্রাধিকার পাবে তরুণ ভোটাররা, যারা এবারই প্রথম ভোটার হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ করতে গিয়ে কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও সাম্প্রদায়িক শক্তি যেন ঢুকতে না পারে। কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় সদস্য খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বক্তব্য রাখেন।